![]() |
বহেড়া,herbalplant-news.blogspot.com |
বহেড়া
এক
ধরনের
ঔষধি
ফল।
এর
বৈজ্ঞানিক নাম "Terminali belerica"। এই
ফলের
আরেক
নাম
বিভিতকি, তবে
বহেড়া
নামেই
বেশি
পরিচিত। এই
গাছের
জন্ম
ভারতবর্ষে। কথিত
আছে,হিন্দু ধর্মের দেবরাজ
ইন্দ্র
অমৃতের
সন্ধানে যখন
সমুদ্র
মত্থন
করেছিলেন,সেই
সময়
এক
ফোঁটা
অমৃত
পৃথিবীতে পড়ে
যায়।
আর
সেই
অমৃতের
ফোঁটা
হতেই
বহেড়া
গাছের
জন্ম।
বাংলাদেশের বনাঞ্চল ও
গ্রামে
এই
গাছের
দেখা
মেলে।
বহেড়া
গাছ
১৫-২৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা
হয়।
এর
বাকল
ধূসর
ছাই
রঙের।
পাতা
কাঁঠাল
পাতার
মতো
মোটা,
লম্বায় প্রায়
৫
ইঞ্চি।
এর
ফুল
ডিম্বাকৃতির প্রায়
১
ইঞ্চির
মতো
লম্বা।
কাঁচা
পাকা
বহেড়া
ফলের
রঙ
সবুজ
থাকে।
পেকে
গেলে
লাল
যার।
পর
শুকিয়ে ক্রমশ
বাদামী। ফলের
বাইরের
আবরন
মসৃণ
ও
শক্ত
এবং
ভেতরে
একটি
মাত্র
শক্ত
বীজ
থাকে।
ডিসেম্বর থেকে
ফেব্রুয়ারি মাসের
ভেতর
এর
ফল
পেকে
যায়।
![]() |
বহেড়া গাছ,allnews-zone.blogspot.com |
বহেড়া
ফল
উপমহাদেশের প্রাচীনতম আয়ুর্বেদিক ঔষধ
হিশেবে
ব্যবহার হয়ে
আসছে।
কথিত
আছে,
প্রতিদিন বহেড়া
ফল
ভিজানো
এক
কাপ
পানি
খেলে
দীর্ঘজীবী হওয়া
যায়।
বহেড়া
বিশেষ
ভাবে
পরিশোধিত হয়ে
এর
ফল,
বীজ
ও
বাকল
মানুষের বিভিন্ন রোগ
প্রতিরোধে ও
চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
আসুন,
জেনে
নেয়া
যাক
বহেড়া
ফলের
ঔষধি
গুন
গুলো-
·
শ্বেতী
রোগ-
বহেড়ার বিচির
শাঁসের
তেল
বের
করে
নিয়মিত শ্বেতীর উপর
লাগালে
অল্প
দিনেই
গায়ের
রঙ
স্বাভাবিক হবে।
·
আমাশয়-
রক্ত
আমাশয়
হলে
প্রতিদিন পানির
সাথে
বহেড়া
ফলের
চূর্ণ
মিশিয়ে পান
করলে
আমাশয়
ভালো
হয়ে
যাবে।
·
অকালে
চুল
পাকা-
অনেকেই
আছে
যাদের
অকালে
চুল
পেকে
যায়।
বহেড়া
ফলের
বিচি
বাদ
দিয়ে
শুধু
খোসা
নিয়ে
পানি
দিয়ে
ভালো
ভাবে
মসৃণ
করে
বাটুন
,এবার
বাটা
মিশ্রণটি এক
কাপ
পানিতে
গুলে
সেই
পানি
ছেঁকে
নিন।এবার সেই
পানি
দিয়ে
চুল
ধুয়ে
ফেলুন।
নিয়মিত করলে
উপকার
পাওয়া
যাবে।
·
কফ-
আধা
চা
চামচ
বহেড়া
চূর্ণ
ও
ঘি
একসাথে
গরম
করে
তার
সাথে
মধু
মিশিয়ে চেটে
খেলে
কফের
সমস্যা
কমে
যায়।
·
অকালে
টাক
পড়া-
যাদের
মাথায়
অকালে
টাক
পড়েছে
তারা
বহেড়ার বিচির
শাঁস
অল্প
পানিতে
মিহি
করে
বেটে
টাকে
লাগালে
উপকার
পাওয়া
যায়।
শরীরেরে কোন স্থানে ফুলে
গেলে
বহেড়ার ছাল
বেটে
একটু
গরম
করে
নিয়ে
ফুলো
জায়গায় প্রলেপ
দিলে
ফুলো
কমে
যাবে
।
হেড়া একধরনের ওষুধক ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম (terminalis belerica)। অনেক বহেড়াকে বিভিতকি বলেও থাকে, তবে ভারতবর্ষে বহেড়া নামে পরিচিত। বহেড়া গাছ সাধারণ রোপন করা দরকার হয় না,নিজে থেকে জঙ্গলে বা রাস্তা ধারে নিজে থেকে জন্মায়। বহেড়া গাছ বেশ বড়ো হয়। প্রাচীনকালে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে বহেড়ার ব্যবহার অপরিহার্য। ত্রিফলার মধ্যে বহেড়া অন্যতম। বহেড়া ফল প্রথম সবুজ থাকলেও পেকে গেলে বাদামি ও বীজ খুব শক্ত হয়। বহেড়ার বিশেষভাবে ফল, বীজ ও বাকল ওষুধ হিসেবে মানুষের রোধ প্রতিরোধক করতে ব্যবহার হয়ে আসছে আদিকাল থেকে।
ReplyDeleteআরও জানতে ক্লিক করুন